পবিত্র মক্কা মদিনার দিনগুলি : (পর্ব ৯)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ মুজিবুল হক ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৪০:২৫ রাত
মসজিদুল হারামে বাব আল ওমরা'র নিকটে আমার মা
.........আজ ১৩ই জিলহজ্ব ২৯শে অক্টোবর ২০১২ সোমবার. হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ সৌদিআরবের স্হানীয় ও আশেপাশের দেশ সহ যারা প্রথম দিকে পবিত্র মক্কায় এসেছিলেন তারা পবিত্র মক্কা ছাড়তে শুরু করলেন. মসজিদুল হারামে প্রচন্ড ভীড়.
মসজিদুল হারামের মাতাফ তাওয়াফ কারীদের ভীড়ে পরিপূর্ণ
যারা পবিত্র মক্কা ছেড়ে চলে যাবেন তারা বিদায়ী তাওয়াফ করছেন. মোবাইল ফোনে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে অতি জরুরী না হলে যেন মসজিদুল হারামে না যাই. এর পরেও আছরের নামাজ পড়ে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আমি একাই পবিত্র মসজিদুল হারামে চলে এলাম কারন একটাই আমার ছোট ভাই নিজামের শ্বশুর আমাদের প্রায় ২০দিন আগে হজ্ব করার উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কায় আসেন এতদিন হজ্বের ব্যস্ততার কারনে উনার সাথে দেখা হয়নি তাছাড়া উনার হোটেলের ঠিকানাও আমি চিনি না. উনি আজ পবিত্র মসজিদুল হারামে নামাজ পড়তে আসার আগে আমাকে ফোন করেন তাই আমি পবিত্র মসজিদুল হারামে এসেছি. আমি পৌঁছেই উনাকে পেয়ে যাই উনি বাব মালিক আবদুল আজিজের বাইরের অংশে মাগরিব নামাজের জন্য বসেছিলেন. আমাকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন. একে তো বয়স্ক মানুষ তার উপর হাঁপানি রোগী, দেখে খুব মায়া হলো কোন কিছুর দরকার কিনা জানতে চাইলাম ..
পবিত্র মসজিদুল হারামে আমি
বিনীত ভাবেই তিনি বললেন কোন কিছুর প্রয়োজন নাই. উনাকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারলে ধন্য হতাম কারন এটিই ছিল উনার সাথে আমার শেষ দেখা. (কারণ হজ্ব শেষে দেশে ফেরার ৪১ দিনের মাথায় তিনি ইন্তেকাল করেন.) এরপর উনার হোটেলের নাম ঠিকানা নিয়ে উনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে হোটেলে চলে আসি. তারপর দিন সকালে অর্থাৎ ১৪ই জিলহজ্ব ৩০শে অক্টোবর ২০১২ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মিসফালাহ রওয়ানা হলাম. মিসফালাহর হিজলা রোডের হিজলা মসজিদের পাশের হোটেলেই অবস্হান করছেন আমার ভাইয়ের শ্বশুর. উনাকে ফোন করলাম জানালেন আশেপাশেই আছেন আমি বেশ কিছুক্ষণ এই গলি সেই গলির প্রায় সব হোটেল খুঁজে উনাকে পেলামনা শেষ পর্যন্ত আমি বিফল হয়ে মিসফালাহর শেষ প্রান্তে মোবারক হোটেলের পাশের হোটেলে অবস্হানরত আমাদের প্রতিবেশী ইলিয়াস ভাইকে দেখতে যাই তিনি তার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে হজ্বে এসেছেন আমাদের কয়েকদিন আগে বেশ কিছু সময় উনার সাথে গল্প গুজব করে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসি তারপর মিসফালাহর বাজার এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখি এই এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতি ও কোলাহলপূর্ণ. রাতদিন ২৪ ঘন্টা একই রকম হারাম শরীফের খুব কাছে হওয়ায় এখানে অধিকাংশ হাজী অবস্হান করেন. বাংলাদেশী হাজীদেরও প্রথম পছন্দ এই এলাকাটি. আর অধিকাংশ দোকানের মালিকও বাংলাদেশী . বাংলাদেশ হজ্ব মিশনের অফিসও এই মিসফালাহয় অবস্হিত. অবশেষে এখানে ওখানে ঘুরে ফিরে ইব্রাহীম বিন খলিল স্ট্রীট হয়ে হোটেলে ফিরে আসি.. .............
বাব আল মালিক আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ
বিষয়: বিবিধ
১২২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন